Heart Attack: হার্ট অ্যাটাক সম্ভাবনা উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, এবং উচ্চ কোলেস্টেরলসহ আরও অনেক কারণ রয়েছে যার কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়। ধূমপান হৃদযন্ত্রের ধমনী এবং শিরাগুলিতে মারাত্মক ক্ষতি করে, সেটা আমরা সকলেই জানি। এ ছাড়া, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এসব কারণ ছাড়াও, আরও অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে, যেগুলির কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হল, এইসব লক্ষণ তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যায় না, কিন্তু হঠাৎ করে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কারণগুলো যেকোনো সময় গুরুতর রূপ নিতে পারে। এবং হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack )কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনেক সময় আপনি হয়তো বুঝতেও পারবেন না যে এসব ছোটো ছোটো সমস্যাগুলো কীভাবে আপনার জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। সতর্ক থাকুন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো খুব জরুরি।
আরও পড়ুন
Heart Attack পর শরীরে এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে
হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন? হার্ট অ্যাটাক ঘটে যখন রক্ত হার্টের পেশীর একটি অংশে পৌঁছানো বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। বিভিন্ন লোক বিভিন্ন উপসর্গ দেখতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে। (আরও পরুনঃ কাঠবাদাম কিভাবে খাবো 2024: কাঠবাদাম কী ভাবে খেলে বেশি উপকার মিলবে?খোসা-সহ না কি খোসা ছাড়া !)
সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- বুকের মাঝখানে চাপ, আঁটসাঁট, চেপে যাওয়া বা ভারী হওয়ার মতো অনুভব হতে পারে।
- ব্যথা আনুভব (সাধারণত বাম হাত), ঘাড়, চোয়াল, কাঁধের ব্লেড, পিঠ বা পেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- শ্বাসকষ্ট বা দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস সমেস্য। সতর্ক থাকুন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিন।
- অতিরিক্ত ঘাম হওয়া এবং ত্বক আঠালো হয়ে যাওয়া।
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা বা মাথা ভারী লাগা।
- খুব ক্লান্ত বোধ করা।
সতর্ক থাকুন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো খুব জরুরি। এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হার্ট অ্যাটাক মারা যাওয়া লোকদের পরিসংখ্যান
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (সিভিডি) বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালে সিভিডির কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১.৭৯ কোটি মানুষ। যার মধ্যে ৮৫ শতাংশই হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের কারণে প্রাণ হারিয়েছে। ‘আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি’-এর জার্নালের তথ্য অনুসারে, ভারতে সিভিডির কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ১৯৯০ সালে যেখানে ছিল ২২.৬ লাখ, তা ২০২০ সালে বেড়ে ৪৭.৭ লাখে পৌঁছেছে। (আরও পরুনঃ স্নানের সেরা সময় কখন? আসুন জেনে নেওয়া যাক)
আচমকা কারও হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন?
নাড়ি পরীক্ষা করুন:
হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন? যদি আপনি আপনার আশেপাশে কাউকে এমন অবস্থায় দেখতে পান, তবে প্রথমে নাড়ি পরীক্ষা করুন। নাড়ি পরীক্ষা করার জন্য আপনাকে ব্যক্তির কব্জি বা ঘাড়ে দুটি আঙুল রাখুন এবং স্পন্দনের রেট হছে কি সেটা অনুভব করার চেষ্টা করুন। এছাড়াও, ব্যক্তির বুকে আপনার কান রাখুন এবং হৃদস্পন্দন শুনুন। যদি আপনি হার্ট রেট স্পন্দন অনুভব করতে না পারেন বা মনে হয় ব্যক্তি শ্বাস নিচ্ছেন না, তাহলে অবিলম্বে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (CPR) শুরু করতে হবে।
স্পন্দন না পেলে, অবিলম্বে CPR শুরু করুন:
যদি ব্যক্তি শ্বাস নিচ্ছেন না বা কেবল হাঁপাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে অবিলম্বে CPR শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। সিপিআর হৃৎপিণ্ড এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেন এবং রক্ত পাম্প করতে রেসকিউ করতে কাজ করে।