RG Kar Hospital Lady Doctor Death: পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল। ময়নাতদন্তের পরে রাতে তাঁর দেহ বের করা হয়। অভিযোগ উঠেছে যে পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়নি।
RG Kar Hospital Lady Doctor Death:গত কয়েকদিন ধরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা এবং বিশৃঙ্খলা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই ঘটনার পর হাসপাতালটি একেবারে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নারী চিকিৎসকের লাশ কেন তার পরিবারের কাছে দেওয়া হচ্ছে না? তা নিয়ে শুক্রবার রাতে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রণক্ষেত্রের মতো লাগছিল। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। প্রতিবাদ করা চিকিৎসকদের মারধর করে পুলিশ। চূড়ান্ত ক্ষোভপ্রকাশ করে মৃত চিকিৎসকের (পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী) বাবা বলেন, ‘আমি জানি না, ওরা আমার মেয়েকে কোথায় নিয়ে গেছে? একইসুরে এক বিক্ষোভকারী চিকিৎসক অভিযোগ করেন যে তদন্ত করতে পুলিশ ‘ভয়’ পাচ্ছে কেন, প্রশ্ন তোলেন বিক্ষোভকারীরা চিকিৎসকরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন: যেখান থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কীভাবে ময়নাতদন্ত করবে? বামন্ত্রী প্রশ্ন করেছিলেন যে যাদের এলাকায় খুন হচ্ছে, তারাই কীভাবে ময়নাতদন্ত করতে পারে।
(আরও পড়ুন: ওরা ছাত্র নয় সন্ত্রাসবাদী! নৈরাজ্য কঠোর হাতে মোকাবিলা করার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর !)(আরও পড়ুন: সেনা তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ: হাসিনার পতন, পলায়ন ও দু’দফার গণরোষের অগস্ট বিপ্লব!)
তদন্ত কমিটি গঠন RG কর মেডিক্যাল (RG Kar Hospital Lady Doctor Death)
ডাক্তারের মৃত্যু খতিয়ে দেখতে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রশাসন তিনজনের একটি তদন্তকারী দল গঠন করেছে। কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন হাসপাতালের ডিন এবং ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রধান, লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন যে ডাক্তারের পাশ করার বিষয়ে নিজস্ব উদ্যোগে একটি অভিযোগ চালু করা হচ্ছে।
চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে কথা মমতা
শুক্রবার সকালে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় জরুরি কক্ষ থেকে চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া যায়। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের সময় পোশাকগুলো খালি ছিল। যে লেকচার হলে ডাক্তারের লাশ পাওয়া গেছে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। সেক্ষেত্রে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যেই চিকিৎসকের পরিবারকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষও হাসপাতালে যান। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেছেন যে ডাক্তারের হত্যা একটি যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের বাইরে ছিল। নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। একজন মহিলা, বয়স 22, আঘাতপ্রাপ্ত। তৃণমূল বিধায়কের মতে, সরকার ও পুলিশ ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখছে। তবে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানান, সকাল থেকেই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ:
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে যা এই ঘটনার কারণ এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখবে।