Rachana Banerjee: রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি হুগলির বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি স্থানীয়দের অভাব-অভিযোগ শুনে পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন। পরে, ফিরতি পথে তিনি স্থানীয় চাষিদের থেকে ওল কেনারও ব্যবস্থা করেন। এটা সত্যিই অসাধারণ, কারণ তিনি শুধুমাত্র পরিস্থিতি বুঝতে নয়, বরং স্থানীয় কৃষকদের সহায়তা করতে চান।
হুগলির চাষিদের থেকে ওল কিনলেন রচনা
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওল এবং কচু, দুটি সবজিই তাঁর খুব পছন্দের। তাই যখন তিনি হুগলির বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে কলকাতা ফিরছিলেন, তখন মাঝপথে গাড়ি দাঁড় করান। রাস্তার পাশে যখন তিনি দেখেন, কৃষকরা চাষ করছেন, তখন সেখান থেকেই রচনা ওল কিনে নেন। আর একদম নিশ্চিত হয়ে জানতে চান, “গলা ধরবে কিনা?” যখন শুনতে পান কিছু সমস্যা নেই, তখন নিশ্চিন্তে সেটা কিনে ফেলেন। তাঁর সফরসঙ্গীও সেই ওলের দাম মিটিয়ে দেন।
কেবল ওল নয়, এদিন রচনা কচুর চাষের ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন। কেনাকাটার মাঝে তিনি জানতে চান, চাষিরা বন্যার কারণে কোনো ক্ষতির মুখে পড়েছেন কিনা। তিনি বলেন, “খুব সুন্দর চাষ হয়েছে। আমি ওল খেতে পছন্দ করি, তাই নিয়ে যাচ্ছি।” সত্যিই, রচনার এই উদ্যোগ এবং কৃষকদের প্রতি তাঁর সহানুভূতি প্রশংসনীয়।
বন্যা দেখতে গিয়ে ট্রোল্ড রচনা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ম্যান মেড বন্যার কথা বলেছিলেন এবং ডিভিসির দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এবার সেই একই সুর শোনা গেল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তিনি এদিন সঠিক পরিসংখ্যান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কিউসেক ও কুইন্টাল ঘেঁটে ফেলেন। ডিভিসিকে দোষারোপ করার সময় তিনি বলেন, “কুইন্টাল কুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে। মানুষের বাড়িঘর তো কিছুই নেই। সবাই রাস্তায় এসে দাঁড়িয়ে আছেন। আর তারা বলছে, ‘জানিয়ে পাঠিয়েছে!’”
রচনার এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, বন্যার পরিস্থিতি এবং মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে তিনি কতটা উদ্বিগ্ন। তাঁর বক্তব্যে কৃষকদের দুরবস্থা এবং প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা রয়েছে।
একই সঙ্গে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “যেটা হয়েছে, তা খুব খারাপ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যে বিষয়ে বলেছেন, সেই বিষয়ে আমি আর আলাদা করে কিছু বলবো না।” প্রসঙ্গত, রচনা হুগলির বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তিনি চাঁদরা, মিলনগর, এবং অন্যান্য স্থানগুলো ঘুরে দেখেন।
এই সমস্ত এলাকা ঘুরে দেখে ডিভিসিকে দোষারোপ করার পাশাপাশি তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান করতে সাহায্য করেনি। তাঁর এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, বন্যার প্রভাব মোকাবেলার জন্য যে পরিকল্পনা দরকার, তার জন্য সরকারের দিক থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। রচনার উদ্বেগ এবং প্রতিক্রিয়া এই সমস্যার গভীরতা বোঝাতে সাহায্য করছে।