দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন Mithun Chakraborty
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেতে চলেছেন বাংলা ও ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি মিঠুন চক্রবর্তী(Mithun Chakraborty)। ভারতীয় চলচ্চিত্রে তার অবদান সত্যিই অনেক। তার নাচ, অভিনয় ও ভিন্ন ধারার চরিত্রে কাজ আজও সবাইকে মুগ্ধ করে। এবার মিঠুনদা পাচ্ছেন ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মান, ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার। আগামী ৮ অক্টোবর ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে তাকে এই বিশেষ সম্মান প্রদান করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই খবরটি X-এ (পূর্বে টুইটার) শেয়ার করেছেন।
মিঠুন চক্রবর্তী ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক সত্যিকারের জীবন্ত কিংবদন্তি। ১৯৭৬ সালে বাঙালি পরিচালক মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ সিনেমা দিয়ে তার অভিনয় জীবনের শুরু। আর সেই প্রথম সিনেমাতেই মিঠুনদা পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য। তার পর থেকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেতাকে। তিনি ১৯৯২ সালে ‘তাহাদের কথা’ এবং ১৯৯৮ সালে ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ সিনেমার জন্য আরও দু’টি জাতীয় পুরস্কার জিতে।
মিঠুন চক্রবর্তীর দীর্ঘ ৫ দশকের অভিনয় জীবনে ৩৫০টিরও বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন। এর মধ্যে ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ আর ‘ডান্স ডান্স’ সত্যিই উল্লেখযোগ্য ছিল। বিশেষ করে ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ সিনেমার মাধ্যমে তিনি একেবারে নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন। সেই সময়কার তার ডিস্কো স্টাইল আর নাচের মুভমেন্ট এখনও মানুষের মনে দাগ কেটে আছে। মিঠুনদার এই চরিত্রগুলো শুধু তার ক্যারিয়ারকেই উজ্জ্বল করেনি, বরং বলিউডে এক নতুন ধারা চালু করেছিল।
সাম্প্রতিককালে মিঠুন চক্রবর্তীকে ভারত সরকার ২০২৪ সালে দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান, ‘পদ্মভূষণ’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এবার আরও একটি বিশাল সম্মান তার ঝুলিতে যুক্ত হতে চলেছে – ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার, দাদাসাহেব ফালকে। ৮ অক্টোবর, ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে মিঠুনদাকে এই বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। নেতপারাই এই খবর তার ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। মিঠুন চক্রবর্তী আবারও প্রমাণ করছেন বাংলা এবং ভারতীয় সিনেমার এক অবিস্মরণীয় আইকন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতারাও সবাই মিঠুন চক্রবর্তীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। মিঠুনদা শুধু সিনেমার নয়, ভারতীয় সংস্কৃতির এক সত্যিকারের আইকন হিসেবে পরিচিত। তার কাজ আর প্রতিভা জাতীয়ভাবে স্বীকৃত হওয়া, সত্যিই গর্বের বিষয়!