Mamata’s humble request to doctors in RG case:আরজি কর হাসপাতালের কাণ্ডে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে মনে করিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেতাল পারেখ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসি হয়েছিল ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের। সেখানে আরজি কর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ফাঁসি দাবি করলেন। দোষীর ফাঁসির দাবির পাশাপাশি চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন কাজ যোগ দেওয়ার জন্য।
১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস। আর আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আজ, বুধবার রাতে নামতে চলেছেন কলকাতার হাজারও মহিলারা। ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মেয়েদের ‘রাতের দখল’ কর্মসূচিতে রাজনীতির রং না লাগানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এই কর্মসূচির পিছনে সিপিএমের হাত আছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বেহালায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে একটি সভা করতে আসেন। সেখানেই সিপিএম–বিজেপিকে তুলোধনা করেন অনেক কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে । তাকে সম্মান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী এবার চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এখনও পর্যন্ত খবর সূত্রে তিনজন রোগী মারা গিয়েছেন চিকিৎসা না পেয়ে। মুখ্যমন্ত্রী জানান আর আন্দোলন না করে কাজে ফেরার অনুরোধ করেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘চিকিৎসকদের আবেদন জানাচ্ছি, তিনজন বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন। চিকিৎসা দিতে আপনারা অঙ্গীকারবদ্ধ। পাঁচদিন হয়ে গেল। পায়ে ধরে বলছি, তাতে যদি চরণযুগল ভাল থাকে। আপনারা চিকিৎসা করুন আন্দোলন করেছেন কেউ আটকায়নি। এবার কাজে নামুন। সিনিয়র ডাক্তাররা পরিষেবা দিচ্ছেন, আমি কৃতজ্ঞ।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা এরপরই পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি নির্দেশ দেন, ‘১৭ তারিখ থেকে সারা বাংলায়, সব ব্লক, সব ওয়ার্ডে ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত বাম–রামের চক্রান্তের বিরুদ্ধে মিছিল ও আন্দোলন হবে। তারপর ১৮ তারিখ ধরনা হবে ব্লকে ব্লকে। ১৯ তারিখে রাখি হবে। ২০ তারিখে আবার পথে নামব আমরা। সেই কর্মসূচি পরে জানিয়ে দেব।’
এদিকে এই আরজি কর ঘটনা আন্দোলনের জেরে তিনজনের মধ্যে একজন শিশু ও একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা মারা গিয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। আজ মেয়েদের ‘রাতের দখল’ কর্মসূচি নিয়েও সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচি অরাজনৈতিক হলে ভাল হতো বলে তিনি মনে করেন। কিন্তু এখানে তা হচ্ছে না। বরং বাম–রাম হাত মিলিয়েছে বাংলার বদনাম করতে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য, ‘কলকাতা এবং বাংলার পুলিশ দেশের মধ্যে সেরা বলে আখ্যাত দেয়াছেন। এই পুলিশই বাংলাদেশের সাংসদের খুনের ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে কিনারা করেছে জানিয়েছেন। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। রবিবার পর্যন্ত আমি সময় দিয়েছিলাম পুলিশকে। কারণ তদন্তে ন্যূনতম সময় লাগে। সেটা দেওয়া গেল না। তার আগেই হাইকোর্টে গেলেন। সব ভাল যার শেষ ভাল। কারণ, পুলিশ না পারলে আমাকেই সিবিআই দিতে হতো।’
অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালের কাণ্ডে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে মনে করিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেতাল পারেখ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসি হয়েছিল ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের। সেখানে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আরজি করেছেন ফাঁসি চান। মুখ্যমন্ত্রী দোষীর ফাঁসির দাবির পাশাপাশি চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন কাজ যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও নির্দোষ যেন শাস্তি না পায়। ধনঞ্জয়ের ঘটনায় যা হয়েছিল, তা যেন আর না হয়। মিথ্যা সাক্ষী জন্য ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ধনঞ্জয়ের। তিনি এখন বিলাপ করেন। মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাঁকে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। যে চলে গেল সে তো চলেই গেল। তাই এই অপরাধে কাউকে যেন আড়াল করা না হয়।’