Jalpaiguri Mystery Death Case:ভাইপোর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তাঁকে দেখে ফেলেছিলেন স্বামী। এর পরদিনই বাড়ির কাছাকাছি কিছুটা দূরে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে খুন করা হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বেলাকোবা ব্লকের বারোপাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গাগলাঘাটা এলাকায়।
ধবার সকালে এলাকার একটি চা বাগানে মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এখন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
সকালে গ্রামবাসীরা বাড়ির কিছুটা দূরে একটি চা বাগানের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মহিলাকে দেখতে পান। এরপর খবর দেওয়া হয় মহিলার বাড়িতে এবং জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
তবে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান মহিলাটি লোকলজ্জার ভয়েই আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে ভাইপো ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। বরুণের পরিবার মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে এবং ঘটনার পর থেকে ভাইপো নিখোঁজ রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই মহিলার ৬ বছরের একটি ছেলে ও ১৪ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তার স্বামী পেশায় চা শ্রমিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাইপো বরুণ রায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে এর আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়েছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে স্ত্রীকে, ভাইপোর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন স্বামী। ভাইপো পালিয়ে যায় এবং স্বামী তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। মহিলাটি ভাইপোর সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তার বাড়িতে চলে যান। কিন্তু ভাইপোর বাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপর মহিলাটি কোন উপায় না দেখে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন, কিন্তু সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও বাড়ির দরজা খোলেনি এবং রাত হয়ে যাওয়ায় তিনি ফিরে যান। এরপর সকালে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় গাছ থেকে।