নয়াদিল্লি:লেবাননে হামলা ইজরায়েলের,সকাল থেকে বোমা-গুলির শব্দ। একসঙ্গে ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইজরায়েলের সেনা বাহিনী। এর পাল্টা জবাব দিয়েছে লেবাননের হেজবোল্লাও। ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৫০টি হামলাকারী ড্রোন ছুড়েছে তারা। এই মুহূর্তে ইজরায়েল ৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করেছে। (Israel Attacks Lebanon Hezbollah)
খবর সুত্রে জানা যাই হেজবোল্লার তরফেই এবার প্রথম ইজরায়েলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা শুরু হয়। সংগঠনের কমান্ডার ফুয়াদ শুকর হত্যার বদলা নেতে পথমে রকেট ছোড়ে বলে অভিযোগ ইজরায়েলের। এদিকে হেজবোল্লার দাবি, ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ৩২০টির বেশি Katyusha রকেট ছোড়ো হয়েছে। আমরা ইজরায়েলের সেনাঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছি। শত্রুপক্ষের হামলা প্রতিহত করতে ইজরায়েলের কাছে যে আয়রন ডোম রয়েছে, সেখানেও হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি হেজবোল্লার। (Israel-Hezbollah Conflict)
লেবাননে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল:ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গালান্ত ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করেন দেশে। ইজরায়েলি সেনা আর পর হামলা চালাই লেবান। আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান লয়েড অস্টিন ইজরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গালান্ত বলেন, “ইজরায়েলি নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই, লেবানন হামলার জবাব দিয়েছি আমরা। আমরা বেইরুটের দিকে নজর রাখছি। যা দরকার করণীয় তা করে ছাড়ব।” (আরও পরুনঃ স্কুলের শৌচালয়েই ৪ বছরের ২ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি তুলকালাম বদলাপুরে!)
এই মুহূর্তে মুখ খুলেছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র সন স্যাভেট। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, আমি পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি। এবং পেন্টাগনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বাইডেন। যে কনো পরিস্তিতিতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্যাভেট।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর,ইরানের মদতে হেজবোল্লা যে ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল অনেক আগে। তাই সেই মত পস্ততি নিচ্ছিল ইজরায়েল। দক্ষিণ লেবাননে হেজবোল্লাকে লক্ষ্য করে ৪০টি আকাশ থেকে ভূমিতে হামলাকারী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে ইজরায়েলের পক্ষ থেকে।
ইজরায়েল এই হামলাকে ‘আত্মরক্ষার’ তাগিদ বলে উল্লেখ করেছে । ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলার আগে সতর্ক করেছিলেন হেজবোল্লাও, যাতে ওই এলাকা খালি করে দেওয়া হয়। এর পরই হামলা চালানো হয়। এই মুহূর্তে ইজরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের পরিষেবাও সম্পুন বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনও বিমান আকাশ পথে উড়ছেও না, অবতরণও করছে না।