Rupali Rai Bhattacharya: কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখায় অভিযোগ জানিয়েছেন অভিনেত্রী। সেখানে আশ্চর্য নীরবতা, দাবি রূপার।
অনেক দিন পর ছোট পর্দায় ফিরে আসছেন রূপা ভট্টাচার্য,। জ়ি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘আনন্দী’তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। যেখানে আনন্দে বুঁদ হয়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেই আনন্দ রূপার জীবনে নেই। অভিনেত্রীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলছে লাগাতার সমাজমাধ্যমে হুমকির বার্তা। আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রূপা জানান, তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সাহায্য পাননি। তার অভিযোগ, প্রশাসন সবকিছু দেখেও নির্বিকার। এই মানসিক চাপের মধ্যেও রূপা তাঁর কাজের প্রতি দায়বদ্ধ।
Rupali Rai Bhattacharya: কী কারণে হুমকিবার্তা পাচ্ছেন তিনি?
আনন্দবাজার অনলাইন-এর এক প্রশ্নের জবাবে রূপা ভট্টাচার্য খোলামেলা জানালেন তাঁর অবস্থান। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শুরু থেকেই তিনি শামিল। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়, বরং ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকেই। রূপার কথায়, “নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের মতো আমিও একজন মেয়ে। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে যে কোনও মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। সেই অনুভূতি থেকেই আমি প্রতিবাদ করেছি।
কিন্তু এই প্রতিবাদের পর থেকেই রূপা সমাজমাধ্যমে একের পর এক কুৎসিত ভাষায় আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। তাঁর চরিত্র নিয়ে নানা কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে। যা তাঁকে গভীরভাবে আঘাত করছে। অভিনেত্রীর অভিযোগ, এসব আক্রমণ এতটাই কুৎসিত যে সেসব ভাষা তিনি মুখে আনতেও পারছেন না।
Rupali Rai Bhattacharya: কী হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে?
অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য বলেন, “এই ঘটনার পরই আমি সাইবার শাখায় ইমেল পাঠাই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর পাইনি। অসহায় হয়ে তিনি হুমকির বার্তার স্ক্রিনশটসহ সমাজমাধ্যমে কলকাতা পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ হন। বরং, রূপার অভিযোগ, হুমকির মাত্রা আরও বেড়েছে। বিভিন্ন ছদ্মনামে অশ্লীল বার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
হতাশ রূপার বক্তব্য, “প্রশাসন চুপ থেকে অপরাধীদের মদত দিচ্ছে, এ কারণেই হুমকির পরিমাণ বাড়ছে। একইসঙ্গে তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, “যদি রক্ষক দর্শক হয়ে থাকে, তাহলে নিরাপত্তা কে দেবে? বিচার চাইতে যাব কার কাছে?” রূপার এই প্রশ্নগুলিই আজ সমাজের অনেক মানুষের মনে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।