এই গান যেন প্রতিবাদকে এক নতুন ভাষা দিয়েছে। যদিও অরিজিৎ সশরীরে পথে নামেননি, তাঁর সুরের জাদু যেন আন্দোলনকে নতুন প্রাণ দিয়েছে। তাঁর কণ্ঠে ‘আর কবে’ গানটা যেন প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে। পোস্টারে, স্লোগানে শুধু শোনা যায়—’আর কবে? আর কবে?’ আর অরিজিৎ সিংহ আবারও ভাইরাল হয়ে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনিতেই তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া, আর এই প্রতিবাদী গান যেন তাঁকে আরও কাছে টেনে নিয়েছে মানুষের।
তবে ইচ্ছে থাকলেও তিনি সশরীরে পথে নামতে পারেননি। কারণ, সেই সময় অরিজিৎকে ব্রিটেনে একটি অনুষ্ঠান করতে হয়েছিল। তবু, তাঁর সুরের স্পর্শে আন্দোলনের সেই আগুন কিন্তু বেঁচে আছে!
সদ্য ব্রিটেনে পাড়ি দিয়েছেন অরিজিৎ সিংহ, আর সেখানে গিয়ে ইতিমধ্যেই দুটি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিভিন্ন শো-এর ক্লিপিংস এখন ভাইরাল। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে কিছু অনুরাগী তাঁর কাছে ‘আর কবে’ গানটি গাওয়ার অনুরোধ করেন। বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে গাওয়া এই গান যে লন্ডনেও পৌঁছেছে, তা স্পষ্ট। কী করলেন অরিজিৎ সিংহ? নিজের চিরাচরিত গানগুলি ছেড়ে… কলকাতার আরজি কর কাণ্ড নিয়ে লেখা সেই প্রতিবাদী গান তিনি কী শোনালেন?
অরিজিৎ সিংহের কড়া জবাব
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অরিজিৎ সিংহ ‘আর কবে’ গানটি গাওয়ার জন্য রাজি হননি। বরং তিনি কিছু কড়া মন্তব্যও করেছেন। অরিজিৎ বলেন, “এটা এই সমস্ত গান গাওয়ার জায়গা নয়। মানুষ এখানে আমার গান শুনতে এসেছেন। এটা আমার কাজ, আর আমি আমার কাজটাই করছি। ‘আর কবে’ গানটা গাওয়ার সঠিক সময় এখন নয়। যদি প্রতিবাদ করতে চান, কলকাতায় গিয়ে দেখুন মানুষ কেমন পথে নেমেছে। যদি সত্যিই প্রতিবাদ করতে চান, তাহলে কলকাতায় গিয়ে পথে নামুন।” তাঁর এই মন্তব্যের মাধ্যমে, অরিজিৎ স্পষ্ট করেছেন যে তিনি তাঁর শো-এর পরিবেশে বিক্ষোভমূলক গান পরিবেশন করতে আগ্রহী নন।
এখানেই শেষ নয়, অরিজিৎ সিংহ আরও জানান, তাঁর ‘আর কবে’ গানটি মানিটাইজ় করা হয়নি। অর্থাৎ, যে কেউ এই গানটি ব্যবহার করতে পারেন, গাইতে পারেন বা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। এই গানটি আন্দোলনের জন্য লেখা, তাই অরিজিৎ চান যে গানটি আন্দোলনের উদ্দেশ্যে যতটা সম্ভব ছড়িয়ে পড়ুক। সে জন্য তিনি গানের কোনো কপিরাইট দাবি করেননি, যাতে আন্দোলনের স্বার্থে এই গান সর্বত্র ব্যবহৃত হতে পারে।